ওয়েব ডেস্ক: আজ মন খারাপের দশমী। নবমী কাটতেই বিষাদের সুর ভেসে উঠছে চারিদিকে। প্রাণের উৎসবের সমাপ্তির সুর। ঠাকুর দালান থেকে পুজো মণ্ডপ, মন ভার সর্বত্র। মর্ত্যের মায়া কাটিয়ে কৈলাসে পাড়ি দেবেন মা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দেবীবরণ, আরতি, সিঁদুর খেলা। শেষবেলায় উমাকে বিদায় জানাতে ঘরে ঘরে প্রার্থণা, আবার এসো মা। প্রাণের উৎসবের জন্য় অপেক্ষা করতে হবে আবার আরও একটা বছরের। বাঙালির সঙ্গে মুখ ভার আকাশেরও। শহর থেকে জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বিজয়া দশমীর সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা সহ উপকূলবর্তী একাধিক অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ সর্বাধিক। আকাশ পুরোপুরি কালো মেঘে ঢাকা এবং জেলা জুড়ে ঘণ্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। নবমীর সন্ধ্যা থেকেই শুরু হওয়া এই টানা বর্ষণে জেলার বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মণ্ডপে মণ্ডপে নবমীর রাতে যে জনপ্লাবন তৈরি হয়েছিল, আবহাওয়ার এই আকস্মিক পরিবর্তনে তা বিঘ্নিত হওয়ায় দর্শনার্থীরা বেশ খানিকটা সমস্যায় পড়েছেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই নিম্নচাপের জেরে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি চলবে এবং বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে পূজা মণ্ডপগুলো জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, আজ বিকেলে বিজয়া দশমী উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যাতে কোনো রকম বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা বিশেষভাবে মোতায়েন রয়েছেন। সমগ্র পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। নিম্নচাপের এই ঝড়-বৃষ্টিতে পুজোর শেষবেলার আনন্দে খানিকটা ভাটা পড়েছে বলাই যায়।
আরও পড়ুন: প্রাণের উৎসবের সমাপ্তির সুর, বিসর্জনে বাড়তি নজরদারি কলকাতা পুলিশের
আসানসোল: আসানসোল শিল্পাঞ্চলজুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে দশমীর সকাল থেকে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মায়ের ঘট নিরঞ্জন করা হবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী দশমির সকাল থেকেই শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। তার মধ্যেই ঘট বিসর্জনে প্রস্তুতি দেখা গেল বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলিতে। কুলটি থানার নিয়ামতপুরে দেবী মন্দিরেও চলছে ঘট বিসর্জন। কমিটির সেক্রেটারি সঞ্জয় দাস বলেন মায়ের, ঘট বিসর্জনের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রতিবারের মতো এবারেও কিছুক্ষণের মধ্যে ঘট বিসর্জন শুরু হবে। অপরদিকে কমিটির অন্য এক সদস্য সচিন বলোডিয়া বলেন , যেমন নিয়ম সেই নিয়ম মেনেই ঘট বিসর্জন করা হবে।